কলা ওটসের প্যানকেক শিশু ও বাচ্চাদের জন্য ।। Ripe Banana Oats Pancake for Babies Toddlers and Kids in Bengali
কলা ওটসের প্যানকেক বাচ্চাদের জন্য একটি খুবই স্বাস্থ্যকর রেসিপি। পাকা কলা বাচ্চাদের জন্য সহজপাচ্য ,তাই খুব ছোটো থেকেই পাকা কলা খাওয়ানো যেতে পারে। একটু বড়ো হলে অন্যান্য ডিশ ট্রাই করুন। একটি মাঝারি মাপের পাকা কলাতে থাকে ১১০ ক্যালোরি। এছাড়া রয়েছে ২৮ গ্রাম হেলদি কার্বোহাইড্রেট ,১ গ্রাম প্রোটিন,৩গ্রাম মতো ফাইবার। এছাড়া কলা পটাসিয়াম ,ভিটামিন B6,ভিটামিন C, ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা সমৃদ্ধ। ওট্সও প্রোটিন ফাইবার,বিভিন্ন খনিজ যেমন আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ,ফসফরাস ,ফোলেট , ভিটামিন ইত্যাদি দ্বারা ভরপুর। এর মধ্যে থাকা সলিউবল ফাইবার বাচ্চার পেট পরিষ্কার রাখে, বাচ্চারা তাই খুব সহজেই ওট্স হজমও করতে পারে।এই রেসিপি খুবই সহজ একটি রেসিপি। মাত্র ২টো উপকরণ দ্বারা তৈরী এই ডিশটি তৈরী করতেও বেশি সময় লাগেনা(baby food in Bengali)। পাকা কলা খুব মিস্টি হয়, তাই আলাদা করে টেস্টের জন্য চিনি বা নুন লাগেনা। কোনো রকম সাইড ডিশ বা ডিপিং ছাড়াই এই রেসিপি টি খাওয়া যায়।
কলা ওটসের প্যানকেক রেসিপি –
রান্নার সময় – ২০ মিনিট
প্রস্তুত করতে লাগবে ৫ মিনিট
রান্না করতে লাগবে ১৫ মিনিট
কি কি লাগবে –
- উৎস – ১ কাপ ওট্স
- পাকা কলা – ২ টো
- ঘী বা তেল – ১ চামচ
কোন বাচ্চা দের জন্য উপযোগী – ৮ মাসের বেশি বয়সের শিশু ও ছোটো বাচ্চাদের জন্য(8 months baby food recipe in Bengali )।
কখন খাওয়াবেন – ব্রেকফাস্ট (Breakfast idea for Babies toddlers and kids in Bengali )।
কলা ওটসের প্যানকেক বানানোর পদ্ধতি –
স্টেপ নং ১- ১ কাপ ওট্স নিন। দুটি মাঝারি সাইজের পাকা কলা ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিন। এখানে সমস্ত উপকরণ ৮ টি প্যান কেক বানানোর জন্য নেওয়া হয়েছে।
স্টেপ নং ৪- প্যানে সামান্য তেল দিন। তেল গরম হলে ১ হাতা বা ১/৪ কাপ ব্যাটার দিন। 2 থেকে 3 মিনিট রান্না হতে দিন। এক দিক ভাজা হলে সাবধানে উল্টে দিন। আবারও 2 মিনিট মতো রান্ন করুন। দুই দিক বাদামি হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
- আপনি যদি গ্রাইন্ডার ছাড়াই রেসিপিটি বানাতে চান তাহলে ওট্স ১৫ মিনিট মতো জলে ভিজিয়ে রাখুন। ওট্স ভালো করে নরম হয়ে গেলে হাত দিয়ে ভালো করে চটকে প্লেন করে নিন।এর পর কলার টুকরো দিয়ে ভালো করে চটকে নিন।
- রেসিপি টি ননস্টিক প্যানে করলে ভালো হয়।
- ব্যাটারটির ঘনত্ব এমন হবে যাতে প্যানে দিলে নিজে থেকেই ছড়িয়ে না পড়ে।
- শিশুকে যেকোনো নতুন খাবার দিলে সবসময় তার এলার্জির দিকে খেয়াল রাখুন।