গর্ভের বাচ্চাকে বুদ্ধিমান করার উপায়? গর্ভাবস্থায় কি শুনতে হয়? গর্ভাবস্থায় কি পড়া ও শোনা উচিত? গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খেলে বাচ্চা স্মার্ট হয় ? আপনার মনেও কি এসব প্রশ্ন আসে? তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রতিবেদন টি শেষ অবধি পড়ুন আশাকরি সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
প্রেগন্যান্ট অবস্থায় প্রত্যেকটি মা চায় তার শিশু যেন সুস্থ ও পারফেক্ট হয়। এবং তারপরে তাকে এমন ভাবে বড়ো করা যাতে সে জীবনে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ গুলোকে সহজে পার করতে পারে তা সে স্কুলে পড়াশোনা হোক বা ভালো স্পোর্টস পার্সন বা আর্টিস্ট হওয়া হোক। কিছু শিশু ডেভলপমেন্টাল মাইলস্টোন গুলো অন্যান্য শিশুদের তুলনায় সময়ের আগে অর্জন করে ফেলে।যেমন কোনো শিশু ৯ মাস বয়সেই হাঁটতে শুরু করে,কেউ আবার স্মাইলি ফেস আঁকতে শুরু করে। কেন এই শিশুরা অন্যান্য শিশুদের তুলনায় ডেভলপমেন্টাল মাইলস্টোন গুলো আগে অর্জন করে তার ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত সঠিক ভাবে কেউ দিতে পারেনি। কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে একজন প্রেগন্যান্ট মায়ের ডায়েট ,ফিটনেস ও মানসিক অবস্থা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ কে প্রভাবিত করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিস্ক কিভাবে বিকাশ হয়।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ন যেহেতু এই সময়ই শিশুর স্নায়ুর সংযোগ খুব দ্রুত ভাবে হতে থাকে ও বুদ্ধি ধারণ কারী অংশ বা ব্রেইন ম্যাটারের বিকাশ ঘটে(gorvabosthay ki ki khabar khete hoy)। সবুজ শাকসবজি, ফল ,বাদাম ,দুধ ও দুগদ্ধ জাত খাবার ,প্রোটিন এসব রোজকার খাবারে যেন অবশ্যই থাকে(গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খেলে বাচ্চা স্মার্ট হয়)। শাকসবজি ও ফলের মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর বিকাশের জন্য ভালো।এই এন্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর মস্তিষ্কের টিস্যু গুলোকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।
পালং শাক ,বাঁধাকপি ,লাল শাক ,ডাঁটা শাক,সজনে শাক ,ব্রকোলি ইত্যাদি সবজি রোজকার খাবারে যোগ করুন।ফলের মধ্যে যে কোনো সিজিনাল টাটকা ফল প্রতিদিন খান(গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় )।
ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড ও DHA ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে
প্রায়শই টিভি বা বিজ্ঞাপনে দেখি যে শিশুর জন্য তৈরী বিভিন্ন হেলথ ড্রিঙ্কস গুলোতে DHA আছে বলে দেখায়। কি এই DHA ? DHA বা ডকোসাহেক্সাইনোয়িক অ্যাসিড হল একধরনের ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড যা শিশুর বুদ্ধির এবং স্নায়ু তন্ত্রের সঠিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। প্রেগন্যান্সির শুরু থেকেই ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করলে শিশুর শৈশবে চোখের দৃষ্টিশক্তি, বুদ্ধি, ও ভাষার বিকাশ খুব ভালো ভাবে হয়। DHAছাড়াEPA ও এক ধরনের ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড যা শিশুর IQ বাড়াতে সাহায্য করে। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন প্রায় ২০০mg ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড প্রয়োজন(গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস কি খাওয়া উচিত)।
খাদ্য উৎসের সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন (গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খেলে বাচ্চা স্মার্ট হয়)। আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড,রাজমা ডাল , ডিম, চর্বি যুক্ত মাছ ইত্যাদি হল ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড তথা DHAএর ভালো উৎস(গর্ভাবস্থায় ওমেগা ৩ কখন খাওয়া উচিত )।
কোলিন
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমান কোলিন ভ্রূণের মস্তিস্ক ও মেরুদণ্ডের সঠিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে ও নিউরাল টিউবের ত্রূটি থেকে রক্ষা করে। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন প্রায় 400 mg কোলিন এর প্রয়োজন হয়(গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস কি খাওয়া উচিত)।কোলিন হল একধরনের B ভিটামিন। রাঙা আলু, ব্রকোলি,ডিম, চিকেন ,রাজমা,চীনে বাদাম (peanuts) ইত্যাদি কোলিন এর ভালো উৎস(গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খেলে বাচ্চা স্মার্ট হয়)। চিকেন খেলে এন্টিবায়োটিক ও গ্রোথ হরমোন ফ্রী চিকেন ,বা দেশী মুরগি খেতে চেষ্টা করবেন।
গর্ভধারনের শুরু থেকেই ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিন
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে শুরু থেকেই ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিতে শুরু করুন(গর্ভের বাচ্চাকে বুদ্ধিমান করার উপায়)। আরো ভালো হয় যদি গর্ভধারণের জন্য যখন পরিকল্পনা করছেন অন্তত তার 2-3 মাস আগে থেকে এই সাপ্লিমেন্ট গুলো নিতে।এই ভিটামিন গুলি আপনার শরীরে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করে, যেমন লোহিত রক্ত কণিকার জন্য ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন B 12, কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন C,হাড় গঠনের জন্য ভিটামিন D এবং মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জিংক ও ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি ।
পলিউশন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন
আমরা সকলেই জানি বিশ্বে বায়ু দূষণের মাত্রা কতো টা বেড়েছে, বিশেষ করে বড়ো শহর গুলোতে। WHO এর মোতে বিশ্বে ১০ টির মধ্যে ৯ টি শিশু বায়ুদূষণ দ্বারা কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত। বায়ু দূষক গুলো প্লাসেন্টার মধ্যদিয়ে গর্ভশয়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে হাঁপানি, নিউমোনিয়ার মতো রোগ দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন হাই ট্রাফিক এলাকা বিশেষ করে বড়ো রাস্তা গুলো এড়িয়ে চলতে। জানি যে সেটা সব সময় সম্ভব হয়না। তাহলে চেষ্টা করুন উচ্চ্ ফিল্টার যুক্ত মাস্ক ব্যবহার করতে অথবা গাড়িতে জার্নি করলে সব কাঁচ বন্ধ করে রাখতে।
এছাড়া বাড়িতে বাথরুম বা মেঝে এসব পরিষ্কার করার জন্য যেসব কেমিক্যাল ব্যাবহার করা হয় যেমন ফিনাইল,ব্লিচিং ,ফ্লোর ক্লিনার , বাথরুম ও টয়লেট ক্লিনার এগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। এই সব কেমিক্যাল থেকে গন্ধ বা কেমিক্যাল ফিউম আপনার নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে প্লাসেন্টার মধ্যে দিয়ে ভ্রূণের শরীরে প্রবেশ করতে পারে যা ভ্রূণের শারীরিক ও মস্তিষ্কের বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এই সব কাজ যদি পারেন তো নিজে করবেন না ,বাড়ির লোকের সাহায্য নিন। আর যদি সে উপায় না থাকে আপনাকেই করতে হয় তাহলে মাস্ক পরে পরিষ্কার করুন অথবা কেমিক্যাল ক্লিনারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ক্লিনার যেমন ভিনিগার ও বেকিং সোডার মিশ্রণ ,লেবু জল ইত্যাদি ব্যবহার করুন। আমরা মায়েরা প্রতিদিন ই কতরকম ভাবে অ্যাডজাস্ট করি , তাই না !
মাছ ও ডিম
মাছ ডিম বাঙালির খাবারে প্রতিদিনই থাকে। প্রতিদিন ২ পিস্ মতো উচ্চ চর্বি যুক্ত মাছ বা সোজা কোথায় তৈলাক্ত মাছ খান। অনেকে আছে যারা মাছের স্কিন খান না। কিন্তু ওই স্কিনেই সবচেয়ে বেশি ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। মাছের কাঁটা ও মাছের মাথা ও চোখ এইসব অংশও খাবেন। এই সব অংশে ভ্রূণের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় মিনারেলস ও কোলাজেন থাকে(গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় )।
যদি শরীরে সহ্য হয় তাহলে মাছের সাথে প্রতিদিন ২ টো করে গোটা ডিমসেদ্ধ খান। ২ টো না পারেন একটা অন্তত খান(কি খেলে গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হয় )। ডিম DHA ও কোলিনের খুব ভালো উৎস যা ভ্রূণের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোয় সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলে। বাচ্চার কগনিটিভ ডেভলপমেন্টে বা জ্ঞান ভিত্তিক বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে ও স্নায়ু তন্ত্র গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
থাইরয়েড আছে কিনা পরীক্ষা করুন
থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষরণ বা থাইরয়েড হরমোন ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ১২ সপ্তাহের আগে ভ্রূণের থাইরয়েড গ্রন্থি তৈরী হয়না। এর পর থাইরয়েড গ্রন্থি তৈরী হলেও ২০ সপ্তাহের আগে পর্যাপ্ত হরমোন তৈরী করতে পারেনা ফলে বেশিরভাগ টাই মায়ের থাইরয়েড হরমোনের উপর নির্ভর করে। মায়ের থাইরোয়েড গ্রন্থির কম ক্ষরণ হলে বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে যা কখনোই পরবর্তী কালে শিশুর জন্মের পর ঠিক করা যায়না। এর ফলে অনেক সময় জড় বুদ্ধি যুক্ত বাচ্চা বা লো IQ(Low IQ ) যুক্ত বাচ্চার জন্ম হয় এবং এদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশও সঠিক ভাবে হয়না।
তাই সবচেয়ে ভালো হয় যখন থেকে গর্ভধারণের জন্য চেষ্টা করছেন তখন থেকেই বা গর্ভধারণের একদম শুরুতেই থাইরয়েডের পরীক্ষা করান ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযাযী ওষুধ অবশ্যই, অতি অবশ্যই খাবেন।
ওষুধের সাথে সাথে থাইরয়েড গ্রন্থি যাতে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য যেসব মৌল উপাদান গুলি প্রয়োজন যেমন আয়োডিন ,সেলেনিয়াম ,জিংক ইত্যাদি যুক্ত খাবার খান(কি খেলে গর্ভের সন্তান বুদ্ধিমান হয় )। আয়োডিন যুক্ত সৈন্ধব লবন ,কাজুবাদাম,ফ্যাক্স সীড ,কুইনোয়া,ব্রাউন রাইস ,ঢেঁকি ছাটা চাল,মাশরুম এই সব খাবারে থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদান গুলি ভালো পরিমানে থাকে।
হালকা ব্যায়াম করুন
হাল্কা ব্যায়াম মায়ের শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখে , স্ট্রেস লেভেল কমায়।কিছু না এক্সসারসাইজ করতে ইচ্ছে হলে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে অন্তত 30 মিনিট ,30 মিনিট করে হাঁটুন। ইউটিউব ঘেঁটে বা ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখে নিতে পারেন কি ধরনের এক্সসারসাইজ এই অবস্থায় ভালো হবে। তবে হ্যাঁ একবার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না ।
স্ট্রেস বা দুঃশ্চিন্তা কন্ট্রোলে রাখুন
আমার মনে হয় সব মায়েরাই জানে যে গর্ভবস্থায় স্ট্রেস বা দুঃশ্চিন্তা বাচ্চার জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত চিন্তা ,রাগ ,বিরক্তি ,হতাশা কোনটিই গর্ভের শিশুর জন্য ভালো না। অতিরিক্ত স্ট্রেস বাচ্চার বুদ্ধির সাথে সাথে সার্বিক বিকাশের ওপর কুপ্রভাব ফেলে। কিছু রিসার্চে দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় মায়ের অতিরিক্ত মানসিক স্ট্রেসের ফলে জড় বুদ্ধি সম্পন্ন শিশু ও অটিস্টিক শিশুর জন্ম হয়েছে ।
মেডিটেশন করুন ও যত খুশি ঘুমান
স্ট্রেস কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মেডিটেশন করা। দিনে অন্তত 30 মিনিট মেডিটেশন করুন। আর এর সাথে যত পারেন ঘুমান। ঘুম আমাদের শরীরে স্ট্রেসের ফলে উৎপন্ন খারাপ হরমোন গুলো যেমন কর্টিসলের মাত্রা কমিয়ে আনে।
বই পড়ুন জোরে জোরে
বিশ্বাস করুন বা না করুন ,জন্মের আগে থেকে জোরে জোরে বই পড়লে বাচ্চার ভাষাভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পায়।(গর্ভাবস্থায় কি পড়া ও শোনা উচিত) তাই আপনার যে বই পছন্দ তা সে গল্পের বই কিংবা কবিতার ,প্রতিদিন ই পড়ুন। তাছাড়া বই পড়ার সময় মন শান্ত থাকে,স্ট্রেস লেভেল কমে।
পেটে হাত বুলিয়ে গর্ভস্থ শিশুর সাথে কথা বলুন
মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র ও সুইডেনে করা কিছু গবেষণা থেকে জানা যায় যে শিশুরা জন্মের আগে থেকেই ভাষা শেখা শুরু করে। তারা কথার মানে বোঝেনা কিন্তু কথার ধরণ, তাল, ছন্দ বুঝতে পারে। তাই গর্ভস্থ শিশুর সাথে কথা কথা বলুন। তবে বাচ্চারা যে ভাবে কথা বলে ওরকম আধো আধো ভাষায় কথাবলবেন না ,বাচ্চার উপকার হয়না। সবসময় স্পষ্ট উচ্চারণ করে কথা বলবেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে পেটে হাত বোলালে বা হালকা ম্যাসাজ করলে বাচ্চারা স্পর্শের অনুভূতি অনুভব করতে পারে ও কখনো কখনো বাইরের এই উদ্দীপনায় সাড়া দেয়(গর্ভের বাচ্চাকে কিভাবে উদ্দীপিত করা যায়)।
গান শুনুন
গান শোনা বিশেষ করে হালকা নরম সুরের গান বা সফট মিউজিক গর্ভস্থ শিশুর মস্তিস্ককে উজ্জীবিত করে। গানের ভাষা ও ছন্দের ধরণ শিশুরা অনুধাবন করতে পারে(গর্ভাবস্থায় কি শুনতে হয়)। তাছাড়া আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে এবং আয়ুর্বেদেও বলে যে গর্ভাবস্থায় শাস্ত্রীয় সংগীত, ভজন বা ঠাকুরের গান এসব শোনা ভালো। মিনিমাম 50 থেকে 60 ডেসিবেল বা সাধারণ কথোপকথন যতটা জোরে হয় ততটা জোরে গান শুনুন।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যে সব মায়েরা গান শোনে,শিশুর সাথে স্পষ্ট ভাবে কথা বলে ও বই পড়ে সেই সব বাচ্চারা অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় সময়ের আগে কথা বলা শেখে(গর্ভাবস্থায় কি শুনতে হয়)। আমি আমার নিজের সন্তানের ক্ষেত্রে এটা হতে দেখেছি।
শেষকথা
শিশুর বুদ্ধি যদিও মা বাবার জীন দ্বারা নির্ধারণ হয়,তবুও আপনার একটু প্রচেষ্টা ও সঠিক পরিবেশ তার প্রখর বুদ্ধির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। হাসি খুশি থাকুন ও সুস্থ থাকুন। মা হাসিখুশি থাকলে বাচ্চাও হাসিখুশি ও সুস্থ হয়।
এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে নীচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং এই প্রতিবেদনটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে এখনই অন্য মায়েদের সাথে শেয়ার করুন।